কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাবিজ দেয়া ও ব্যবহার করা বৈধ। সাহাবায়ে কেরাম রা. তাবিজকে বৈধ জেনেছন এবং ব্যবহারও করেছেন।
রাসুল সা. ভয়ভীতি থেকে বাঁচার জন্য সাহাবায়ে কেরাম রা. কে এই দোয়া শিক্ষা দিতেন
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ ، وَعِقَابِهِ ، وَشَرِّ عِبَادِهِ ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ ، وَأَنْ يَحْضُرُونَ
হযরত ইবনে উমর রা. তার বুঝমান ছোট বাচ্চাদের এই দোয়াটি শিক্ষা দিতেন, আর যারা অবুঝ শিশু তাদের গলায় তা লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।
- আবু দাউদ: ২/৫৪৩।
এর থেকে প্রমাণিত হয় সাহাবাগণ তাবিজ ব্যবহার বৈধ জানতেন।
অবশ্য কোনো কোনো হাদীসে তামিমা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি তামিমা ঝুলায় সে শিরক করল।
এখন সেই তামিমা দ্বারা উদ্দেশ্য কী?
আব্দুল ওহাব নজদী ও তার ভক্ত অনুসারীগণ প্রচলিত তাবিজকেই সেই তামিমা আখ্যায়িত করে, তাবিজকে নাজায়েয বলার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। অথচ তা সম্পূর্ণ ভুল।
এ ব্যাপারে সাহাবাগণের মতামত লক্ষ্য করুন!
হযরত আয়েশা রা. বলেন বিপদ আসার পরে যা গলায় ঝুলানো হয় তা তামিমা নয়।
-সুনানে বাইহাকী ৯/৩৫
আরবী ভাষাবিদ ও মুহাদ্দিসগণ উল্লেখ করেছেন যে, তামিমা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যা জাহেলী যুগে মুশরিকরা ( সরাসরি তামিমাকে ক্রিয়াশীল মনে করে) বাচ্চাদের গলায় ঝুলাতো।
-আল মুগরিব, ১/১০৭
তাহজিবুল লুগাত ১৪/২৬০
সুতরাং বুঝা গেলো নিষিদ্ধ হলো জাহেলী যুগের তামিমা বা তাবিজ, যা মুশরিকরা সরাসরি ক্রিয়াশীল মনে করতো।
পক্ষান্তরে যার মধ্যে নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পাওয়া যাবে তা নিষিদ্ধ নয়। তাকে শিরক বলা স্থুল বুদ্ধিতা ও কুরআন-হাদীস সম্পর্কে অপরিপক্কতার নামান্তর।
১) আল্লাহর উপর পূর্ন বিশ্বাস রাখা এবং তাবিজকে অষুধের মতো শুধু উপকরণ হিসেবে বিশ্বাস করা।
২) কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম ও সীফাত ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ করা।
৩) কুফুরী বা এমন শব্দ ব্যবহার না করা যার অর্থ জানা যায় না।
উল্লেখ থাকে যে কোরআনে কারিমের বিভিন্ন আয়াত বা সূরার নকশা বানিয়ে সেটা দিয়ে তাবিজ দেওয়া জায়েজ আছে।

No comments:
Post a Comment